ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

লামায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ম্রো পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সেনাবাহিনী

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::  বান্দরবানের লামার গজালিয়া ইউনিয়নে দূর্গম লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে লামা সাব জোনের একটি সেনাবাহিনী টিম। জরুরী ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি আহতদের স্বাস্থ্য সেবাও দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

লুলাইং এলাকায় বুধবার দুপুরে ভয়াবহ আগুনে মাংক্রাত মুরুং, থংপে মুরুং, লংথন মুরুং, রুমরই মুরুং, রিংয়ং মুরুং, মেনওয় মুরুং, লাংপুং মুরুং ও পালে মুরুং বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ করে চরম খাদ্য অভাব, গায়ের কাপড় ও চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে এখনো কোন সরকারী বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। দূর্গমের এই নৃ-গোষ্ঠী পরিবার গুলোর করুণ পরিণতির কথা চিন্তা করে লামা সাব জোন থেকে ত্রাণ সেবা, শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এসময় আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিটি প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার খাওয়ার তেল, আধা কেজি লবণ, ৫টি করে কম্বল, ৫টি সুয়েটার ও নগদ ১ হাজার (কাউকে ৫শত) টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপিউ মুরুং জানান, সেনাবাহিনী সবার আগে ত্রাণ, শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা নিয়ে এসেছে। আপদকালীন মুহুর্তে সেনাবাহিনীর এই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলোর খুব উপকারে এসেছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে লামার গজালিয়া ইউনিয়নে দূর্গম লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় আগুনে পুড়ে ৯টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রেনচং মুরুং নামে একজন প্রতিবন্ধী কিশোর পুড়ে নিহত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডের প্রায় ২০ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

পাঠকের মতামত: